উবারের বিরুদ্ধে ভোক্তার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ!

।। নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ভাড়া বেশি আসা, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন এক অভিযোগ, তা হলো ভোক্তার একাউন্ট থেকে টাকা হাওয়া করে দেয়া। জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং সার্ভিস উবারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের এমনই এক অভিযোগ এনেছেন ঢাকাস্থ একজন ভোক্তা।

ভোক্তা জানান, দুই বছর যাবৎ তিনি উবার রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের একজন গ্রাহক। গত আগস্ট মাসে তার উবার একাউন্টে ৭৪২.১২ টাকা ক্রেডিট ব্যালেন্স জমা ছিল। ওই মাসের শেষের দিকে তিনি মোবাইল ফোন পরিবর্তন করেন এবং সেখান ঠেকেই বিপত্তির শুরু।

তিনি জানান, নতুন মোবাইলে উবার একাউন্টে লগ ইন করার চেষ্টা করলে ভেরিফেকেশন টাইমআউটের কারণে লগ ইন সম্ভব হয় না। তখন উবার তাকে একাউন্ট রিসেট করার অপশন দেয়। উক্ত নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি একাউন্ট রিসেট করলে দেখেন তার পূর্ববর্তী রাইড হিস্ট্রিসহ ক্রেডিট ব্যালেন্সে থাকা ৭৪২.১২ টাকার এক পয়সাও নেই।

পরবর্তীতে তিনি ফেসবুক পেইজে অভিযোগ দাখিল করলে তারা ভোক্তাকে একটি লিংক দেয় এবং উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করে এবং প্রমাণ চাইলে তাও যথাযথভাবে সম্পন্ন করেন। কিন্তু তারা অভিযোগটি নিষ্পত্তি না করে তাদের টেকনিকাল টিম বিষয়টি দেখছে মর্মে উল্লেখ করে অভিযোগটি আর্কাইভ করে রাখে।

পরবর্তীতে আরও দু’বার একই অভিযোগ করলে, একই প্রক্রিয়ায় অভিযোগটি আর্কাইভ করে রাখে। সর্বশেষ ১০ জানুয়ারি পুনরায় অভিযোগ দায়ের করলে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে উবার-এর কর্মকর্তারা। ভোক্তা উবার-এর এই প্রতারণার তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং উবারের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করেছেন।

ক্যাব-এর ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক অরুণিমা ইসলাম বলেন,
‘অভিযোগটি গুরুতর। এটি দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে কাজ করছি।’ উল্লেখ্য, ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত একটি বেসরকারি উদ্যোগ।

অরুণিমা ইসলাম জানান, ‘ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রের কল সেন্টার বাংলাদেশের ভোক্তাদের বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ নিষ্পত্তিতে সহায়তা দিয়ে থাকে। ভোক্তারা কোনো পণ্য বা সেবা কিনে প্রতারিত হলে ০১৯৭৭০০৮০৭১, ০১৯৭৭০০৮০৭২ নম্বরে বা [email protected] ইমেইলে অভিযোগ পাঠাতে পারেন। এসব অভিযোগ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে নিষ্পত্তি করা হয়। এর মাধ্যমে ভোক্তা প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ পেয়ে লাভবান হওয়ার সুযোগও রয়েছে।’